Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
গল্প নয় সত্যি
ছবি
ডাউনলোড

 

মহম্মদপুর উপজেলার নাম করণের বিষয়ে সুনিদ্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে মোঘল আমলে অত্র অঞ্চলের জমিদার ছিলেন রাজা সীতারাম রায়( জন্ম ১৬৫৮ খ্রিঃ) তিনি এক পর্যায়ে নিজেকে স্বাধীন রাজা হিসেবে ঘোষনা করেন এবং মোঘল বাদশা আওরঙ্গজেবের সময় রাজস্ব প্রদান বন্ধ করে দেন। স্থানীয় মুসলিম ফকির মাহমুদের নামানুসারে তার রাজধানীর পুরাতন নাম বাগজান এর স্থলে মহম্মদপুর নামকরণ করেন।

মোহাম্মদপুর উপজেলা ২৩.৪০  উত্তর অক্ষাংশ  এবং  ৮৯.৬০  পূর্ব দ্রাঘীমাংশে অবস্থিত।

মহম্মদপুর উপজেলার উত্তর ও উত্তর পশ্চিমে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলা, পূর্ব দক্ষিণে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা, দক্ষিনে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা, পশ্চিম দক্ষিণে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা এবং পশ্চিম ও পশ্চিমে মাগুরা সদর উপজেলা।

 

৫টি মৌজা নিয়ে মোহাম্মদপুর শহর গঠিত। শহরের আয়তন ৬.৩০ বর্গ কি: মি:।

 

 

কৃষিতে অত্র উপজেলার খুব ভালো অবস্থান থাকলেও শিক্ষার ক্ষেত্রে এই জনপদের মানুষ ছিলো বহুলাংশে পিছিয়ে। হাতে গোনা কয়েকটি স্কুলে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে অনেক কষ্ট করে এসে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী লেখা পড়া করতো।

বর্তমানে চিরিরবন্দর উপজেলার আর সেই চিত্র নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে পূর্ণ ছোঁয়া পড়েছে অত্র উপজেলায়।  সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন পিপাসু সাধারণ মানুষেরাও থেমে নেই। তারাও রেখে চলেছে উন্নয়নে অংশীদারিত্বের ভূমিকা।

 

শিক্ষাক্ষেত্রে মহম্মদপুর উপজেলা এখন অনেক এগিয়ে। এখানে বর্তমানে  নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, 71 টি মাদ্রাসা এবং কলেজ পর্যায়ের 01 টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গৌরবের বিষয় উপজেলা সদরেই রয়েছে সরকারী জাতীয়করণের তালিকা ভুক্ত ।  বর্তমানে এই স্কুল গুলোতে বাংলাদেশের প্রায় বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করছে।

কৃষি বিল্পবের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও চিরিরবন্দর বর্তমানে পূর্ণ সফল। এক বাক্যেই চিরিরবন্দর বাংলাবাসীর কাছে আজ শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান সহ শিক্ষার মান উন্নয়নে সকল প্রকার আধুনিক প্রযুক্তি বজায় রেখে গুণগত শিক্ষা দানের সাথে সাথে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম যেমন খেলা-ধুলা, সঙ্গীতচর্চা, ছবি আঁকা, আইসিটি, জ্ঞান অন্বেষন, বিতর্ক প্রতিযোগিতার মতো অন্যান্য বিষয়গলোতেও সমান দক্ষতা অর্জন করে দেশের সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠছে।

 

বর্তমানে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে অধ্যয়ন শেষে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করে অধ্যয়ন শেষে চাকুরী ক্ষেত্রেও সরকারী বে-সরকারী উচ্চ পদগুলো দখল করে চলেছে।

উল্লেখ্য যে এ যাবত আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে একজন ছাত্র জাতীয় রানার-আপ এর পুরস্কার অর্জন করেছে, একজন ছাত্র জ্ঞান অন্বেষন প্রতিযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার অর্জন করেছে এবং একজন ছাত্রী স্বর্ণ কিশোরী নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাও উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়েও সহপাঠ্যক্রমিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশগ্রহণ করে চিরিরবন্দরের সুনাম বয়ে এনেছে।